Submitted by Bhabna Sen on Tue, 08/10/2021 - 14:29

“রাতে আমাদের শয্যায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাই, কারণ আমাদের পক্ষ থেকে সহিংসতা করতে প্রস্তুত থাকে একদল কর্মঠ সেনা।”- জর্জ ওয়েল

বাংলাদেশের নির্ঘুম সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সরকারের নির্দেশনায় জাতি-নির্মাণ কাজে অনুকরণীয় অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য, বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা এখন বিজয় সরণি রোডের পাশে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানেটারিয়ামের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। সম্প্রতি আমাদের সামরিক জাদুঘরকে আধুনিকীকরণের জন্য একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যার ফলে একটি অত্যাধুনিক স্থাপনা গড়ে উঠেছে, যার ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ নামে পরিচিত।

প্রস্তাবিত জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে। চারটি অংশে ভাগ করে জাদুঘরটি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে স্বাধীনতার পূর্বের এবং পরের সামরিক বাহিনীর সরঞ্জাম উপস্থাপন করা হবে। নতুন কমপ্লেক্সের দুই তলায় ২,০০০ বর্গমিটারে স্থাপন করা হবে নৌবাহিনীর ডিসপ্লে যা বাংলাদেশের দর্শকদের জাদুঘর পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। যেহেতু প্রযুক্তি এবং ডিজিটালাইজেশন বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেহেতু এই জাতীয় আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় এবং বিদেশী সম্প্রদায় - উভয়পক্ষকেই আকৃষ্ট করবে।

নতুন জাদুঘরটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের অসীম সাহস ও সাহসিকতার পরিচয় দেবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর গৌরবময় অতীত, অর্জন ও প্রতিবন্ধকতা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে দেশের জনগণকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সত্যিকারের তথ্য প্রদানে এই জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রদর্শিত তথ্য গবেষণার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

মূল প্রকল্পের কাজগুলির মধ্যে রয়েছে একটি আটতলা মূল জাদুঘর ভবন নির্মাণ, একটি দোতলা বেজমেন্ট, কাঠামোগত সুবিধা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর, আসবাবপত্র সংগ্রহ, ভূমি উন্নয়ন, মাটি পরীক্ষা এবং পরামর্শ প্রদান সুবিধা।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের প্রকল্পটি একটি আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য-কীর্তির সমকক্ষ। জাদুঘরটির বিদ্যুতায়নে অবদান রাখতে পেরে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত গর্বিত। এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড সামরিক জাদুঘর বিকাশের লক্ষ্যে এমডিবি (প্রধান ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড ও সার্কিট ব্রেকার), ডিবি (ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড ও সার্কিট ব্রেকার) এবং এসডিবি (সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড ও সার্কিট ব্রেকার) সরবরাহ করেছে এবং ইনস্টলেশন সার্ভিস প্রদান করেছে। মিউজিয়ামের চিলার পার্ট (এসি এলাকা) এবং এএইচইউ (এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিট) এনার্জিপ্যাক ইলেকট্রনিক্সের সেবার আওতাভূক্ত।

যারা অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমের সহিত আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক্স সেক্টরের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি সংস্থা হিসেবে, তাদের অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে আমরা গর্বিত।

আমাদের প্রোটেকশন ডিভাইস সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.energypacelectronics.com/protection-devices

Reference:
Bangabandhu Military Museum
Bangabandhu Military Museum | Dhaka
Bangabandhu Military Museum Project

Please click here to read this blog in English