
বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ব্যপক উন্নয়ন দরকার। এই প্রয়োজনীয়তা সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন নতুন আবিষ্কারের পথ উন্মোচন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যুৎ অবকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গ্রামাঞ্চলগুলোকে বিদ্যুতায়নে জোর দিচ্ছে। কিন্তু প্রচুর প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ধরনের বৈরী আবহাওয়া বিভিন্ন সেক্টরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালে, প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূল এবং বৃহত্তর খুলনার অসংখ্য গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। ঘুর্ণিঝড়ের সময় প্রচন্ড গতিময় বাতাসের বেগে ট্রান্সফর্মার্স এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিপর্যস্ত হয় যা ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ঘুর্ণিঝড়, সাইক্লোনের মতো বর্ষাকালে বন্যার সময়ও বাংলাদেশ গ্রামাঞ্চলগুলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। বন্যার জলের স্তর বেড়ে ইলেক্ট্রিক পোল এবং তার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিদ্যুৎ তড়িতায়িত হয়ে প্রাণিকুলের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই সময় গ্রামাঞ্চলগুলো দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ এমনি একাধিক মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং মৌলিক চাহিদা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্থ করে। এভাবেই দুর্যোগ আর মানুষের লড়াইয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষ, জয়ী হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
গ্রামাঞ্চলে দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান রয়েছে যা সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করে উপকৃত হওয়া যায়। এই দুঃখজনক অবস্থার একটি সাধারণ, সাশ্রয়ী ও দ্রুততম সমাধান হতে পারে ব্যাকাপ এলইডি বাল্বের সংযোগ।
ব্যাকাপ একইডি পাওয়ার বাল্বে বিদ্যুৎ সচল থাকা অবস্থায় বিল্ট-ইন-ব্যাটারির ভিতর বিদ্যুৎ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এর ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত বাল্বটি আলো প্রদান করতে পারে। এই যুগান্তকারী বৈদ্যুতিক বাল্বটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অহরহ দেখা যায়, বিশেষ করে বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে দিনের বেলা ব্যাকাপ এলইডি চার্জ করে রাতে ব্যবহার করা হয়।
সাইক্লোন এবং ফ্লাড শেল্টারে ব্যাকআপ এলইডি বাল্ব ব্যবহার না করা একটি মৌলিক পরিকল্পনা গত ত্রুটি। অথচ এসকল আশ্রয় প্রদানকারী কেন্দ্রই ব্যাকাপ এলইডি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা। আলো, নিরাপত্তা বা স্বাচ্ছন্দ্য- আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এর কোনোটিই প্রয়োজন অনুসারে প্রদান করতে পারে না সাধারণ বাল্ব। বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ শুধু যে শুধু দৈনন্দিন কার্যাবলিতে ব্যাঘাত ঘটায় তাই নয়, এটি আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের মধ্যে অবরোধ আতঙ্ক তৈরী করে, বিশেষ করে সেই শিশুদের মধ্যে যারা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসর্ডারে আক্রান্ত।
এসকল কারণে বলা যায় দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎসমস্যায় ব্যাকাপ এলিডি বাল্ব লাগানোই সবচেয়ে বিচক্ষণ সমাধান।
সঠিক ব্যাকাপ এলিডি বাল্ব নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের ব্যাকাপ এলিডি বাল্ব পাওয়া যায় যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বৈদ্যুতিক প্রয়োজনীতা পূরণে অক্ষম।
নিম্নমানের ব্যাকাপ এলিইডি বাল্ব যে ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে তা নিম্নরূপঃ
ক) কর্মক্ষমতা কম ( ১ ঘন্টারও কম সময় ব্যাকাপ আলো দেয়)
খ) ব্যাকাপ লুমেন খুবই নিম্নমানের (অফ-গ্রিড সময়ে খুবই কম আলো দেয়)
গ) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ বেড়ে যায়
ঘ) দুর্যোগ চলাকালীন অস্থির পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সমস্যার সৃষ্টি করে
ঙ) ফ্লিকারিং পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করতে পারে
এনার্জিপ্যাক একটি পণ্য উদ্ভাবন করেছে যা উপর্যুক্ত সমস্যাগুলোর মোক্ষম সমাধান। এনার্জিপ্যাকের দিশারী এলইডি বাল্ব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর জন্য একটি আদর্শ বাল্ব যা বিদ্যুৎ যাবার পরও ২.৫ ঘন্টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন আলো প্রদান করে এবং ব্যাকাপ আলো প্রদানের সময় প্রতি ঘন্টায় এর লুমেন বিচ্যুতির হার খুবই সামান্য। সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত দিশারী এলইডি ব্যাকাপ লাইট সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা এবং সর্বনিম্ন যান্ত্রিক ত্রুটির নিশ্চয়তা দেয়। সর্বোপরি এনার্জিপ্যাক সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের সকল মার্কেটে এ লাইটটির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করছে যেন স্থানীয় সরকার এবং ভোক্তা খুব সহজেই আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য এটি কিনতে এবং ব্যবহার করতে পারে।